বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদের নিয়োগ পরীক্ষা তুমুল প্রতিযোগিতাপূর্ণ। এ পরীক্ষায় টেকা ততোটা সহজ নয়। কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন সে বিষয়ে লিখেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক ও ২০১৩ ব্যাচের নিয়োগ পরীক্ষায় মেধাতালিকায় চতুর্থ মো. ফারুক হোসেন
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে মোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারিতে সময় ১ ঘণ্টা ও ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় বরাদ্দ থাকে ২ ঘণ্টা।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর বণ্টন : বাংলা ২০, সাধারণ জ্ঞান ২০, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ১০, ইংরেজি ২০ ও গণিত ৩০ নম্বর।
লিখিত পরীক্ষার নম্বর বণ্টন : ফোকাস রাইটিং ইন ইংলিশ ৩০, ক্রিয়েটিভ রাইটিং ইন ইংলিশ ৩০, ইংলিশ কম্প্রিহেনশন ৩০, ফোকাস রাইটিং ইন বাংলা ৩০, অনুবাদ-বাংলা থেকে ইংরেজি ২৫, ইংরেজি থেকে বাংলা ২৫ ও গণিত ৩০।
প্রিলিমিনারির মার্কস মোট নম্বরের সঙ্গে যোগ না হলেও এতে পাস না করলে লিখিত পরীক্ষার খাতা যাচাই করা হয় না। সে ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষায় খুব ভালো করেও লাভ নেই। এ জন্য প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রিলিমিনারিতে বাংলা অংশে সাহিত্য ও ব্যাকরণ থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, কোনটি কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে শব্দ, পদ, সমাস, কারক, প্রত্যয়, উপসর্গ, ক্রিয়ার কাল, পারিভাষিক শব্দ প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। বাংলা অংশে ভালো করার জন্য সৌমিত্র শেখরের 'বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জিজ্ঞাসা', মাহবুবুল আলমের 'বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস', হুমায়ুন আজাদের 'লাল নীল দীপাবলী বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী' এবং বোর্ডের নবম-দশম শ্রেণির 'বাংলা ভাষার ব্যাকরণ' বই পড়তে পারেন। এ ছাড়া অনুশীলনীর জন্য দেখতে পারেন বাজারে প্রচলিত তিন-চারটি গাইড বই।
সাধারণ জ্ঞান অংশে ভালো করার জন্য দৈনিক সংবাদপত্রের অর্থ-বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক ও সম্পাদকীয় পাতা নিয়মিত পড়তে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে। বাজারে প্রচলিত সাধারণ জ্ঞানের বই (যেমন আজকের বিশ্ব, নতুন বিশ্ব) পড়তে পারেন। নিয়মিত পড়তে হবে সাম্প্রতিক বিষয়াবলির ওপর প্রকাশিত দু-তিনটি মাসিক।
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে ভালো করা সহজ। এতে সাধারণ জ্ঞানের মতো বিশাল সিলেবাস নেই। আর এ কারণে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য বিগত সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশ্ন ও বিভিন্ন ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করতে হবে। অন্যান্য বিষয়েও বিগত বছরের প্রশ্ন দেখলে কাজে দেবে। এতে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কেও সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বই পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত তিন-চারটি প্রকাশনীর গাইড পড়ে ফেলতে পারেন।
ইংরেজি অংশে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ভিন্ন হলেও প্রস্তুতি প্রায় একই। প্রিলিতে গ্রামার ও শব্দের অর্থ জানার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর লিখিত অংশে গুরুত্ব দেওয়া হয় গ্রামার ও শব্দের সঠিক ব্যবহার ও ভাষাশৈলীর ওপর। গ্রামার অংশের সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে Wren & Martin-এর English Grammar, TOEFL-এর বই পড়তে পারেন।Appropriate Preposition, Group Verb, Idiom Phrase মুখস্থ রাখতে পারেন।Vocabulary জানার কোনো বিকল্প নেই। ইংরেজি সংবাদপত্র, বই, ম্যাগাজিন পড়ার অভ্যাস করতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে অজানা শব্দের অর্থ জেনে নিতে হবে। লিখিত অংশে ভালো করার জন্য ইংরেজির কোনো টপিক পড়ার পর তা থেকে নিজের মতো করে লেখার অভ্যাস করতে হবে।
লিখিত অংশে থাকে ইংরেজি থেকে বাংলায় ও বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ। এ জন্য বাংলা ও ইংরেজি সংবাদপত্র সহায়ক হতে পারে। প্রতিদিন কিছু কমন সংবাদ থাকে, যা বাংলা ও ইংরেজি উভয় সংবাদপত্রেই প্রকাশিত হয়। এক-দুটি টপিক নির্বাচন করে বাংলা সংবাদপত্র থেকে পড়ার পর ওই সংবাদটিই ইংরেজি সংবাদপত্রে পড়তে পারেন অথবা উল্টোটি। এতে অনুবাদ কিভাবে করা হয়েছে, কিভাবে শব্দের প্রয়োগ করা হয়েছে সহজেই বুঝতে পারবেন। প্রতিদিন নতুন নতুন টপিক নিয়ে চর্চা চালিয়ে যান। একসময় উন্নতি নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন।
সব শেষে গণিত। এ বিষয়ে সঠিক উত্তরে ফুল মার্কস পাওয়া যায়, যা অন্য কোনো অংশে সম্ভব নয়। গণিত অংশে ভালো করার কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই। প্রতিদিন বুঝে অনুশীলন করতে হবে। বিগত বছরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন, GRE, GMAT-এর ম্যাথ সমাধান করতে পারেন। প্রিলির প্রস্তুতি এমনভাবে নিতে হবে যেন লিখিত অংশের প্রস্তুতিও হয়ে যায়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সহকারী পরিচালক পদে মোট ৩০০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারিতে সময় ১ ঘণ্টা ও ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় বরাদ্দ থাকে ২ ঘণ্টা।
প্রিলিমিনারি পরীক্ষার নম্বর বণ্টন : বাংলা ২০, সাধারণ জ্ঞান ২০, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ১০, ইংরেজি ২০ ও গণিত ৩০ নম্বর।
লিখিত পরীক্ষার নম্বর বণ্টন : ফোকাস রাইটিং ইন ইংলিশ ৩০, ক্রিয়েটিভ রাইটিং ইন ইংলিশ ৩০, ইংলিশ কম্প্রিহেনশন ৩০, ফোকাস রাইটিং ইন বাংলা ৩০, অনুবাদ-বাংলা থেকে ইংরেজি ২৫, ইংরেজি থেকে বাংলা ২৫ ও গণিত ৩০।
প্রিলিমিনারির মার্কস মোট নম্বরের সঙ্গে যোগ না হলেও এতে পাস না করলে লিখিত পরীক্ষার খাতা যাচাই করা হয় না। সে ক্ষেত্রে লিখিত পরীক্ষায় খুব ভালো করেও লাভ নেই। এ জন্য প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
প্রিলিমিনারিতে বাংলা অংশে সাহিত্য ও ব্যাকরণ থেকে প্রশ্ন করা হয়। সাহিত্য অংশে কবি-সাহিত্যিকদের জীবনী, তাঁদের সাহিত্যকর্ম, কোনটি কোন ধরনের সাহিত্যকর্ম, প্রকাশকাল প্রভৃতি নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ব্যাকরণ অংশে শব্দ, পদ, সমাস, কারক, প্রত্যয়, উপসর্গ, ক্রিয়ার কাল, পারিভাষিক শব্দ প্রভৃতি বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। বাংলা অংশে ভালো করার জন্য সৌমিত্র শেখরের 'বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জিজ্ঞাসা', মাহবুবুল আলমের 'বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস', হুমায়ুন আজাদের 'লাল নীল দীপাবলী বা বাংলা সাহিত্যের জীবনী' এবং বোর্ডের নবম-দশম শ্রেণির 'বাংলা ভাষার ব্যাকরণ' বই পড়তে পারেন। এ ছাড়া অনুশীলনীর জন্য দেখতে পারেন বাজারে প্রচলিত তিন-চারটি গাইড বই।
সাধারণ জ্ঞান অংশে ভালো করার জন্য দৈনিক সংবাদপত্রের অর্থ-বাণিজ্য, আন্তর্জাতিক ও সম্পাদকীয় পাতা নিয়মিত পড়তে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নোট করে রাখলে পরে প্রস্তুতিতে কাজে দেবে। বাজারে প্রচলিত সাধারণ জ্ঞানের বই (যেমন আজকের বিশ্ব, নতুন বিশ্ব) পড়তে পারেন। নিয়মিত পড়তে হবে সাম্প্রতিক বিষয়াবলির ওপর প্রকাশিত দু-তিনটি মাসিক।
কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি অংশে ভালো করা সহজ। এতে সাধারণ জ্ঞানের মতো বিশাল সিলেবাস নেই। আর এ কারণে প্রশ্ন রিপিট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ জন্য বিগত সালের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রশ্ন ও বিভিন্ন ব্যাংকের প্রশ্নের তথ্যপ্রযুক্তি অংশ সমাধান করতে হবে। অন্যান্য বিষয়েও বিগত বছরের প্রশ্ন দেখলে কাজে দেবে। এতে প্রশ্নের ধরন সম্পর্কেও সম্যক ধারণা পাওয়া যাবে। নবম-দশম শ্রেণি ও এইচএসসির কম্পিউটার বই পড়তে পারেন। এ ছাড়া বাজারে প্রচলিত তিন-চারটি প্রকাশনীর গাইড পড়ে ফেলতে পারেন।
ইংরেজি অংশে প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন ভিন্ন হলেও প্রস্তুতি প্রায় একই। প্রিলিতে গ্রামার ও শব্দের অর্থ জানার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। আর লিখিত অংশে গুরুত্ব দেওয়া হয় গ্রামার ও শব্দের সঠিক ব্যবহার ও ভাষাশৈলীর ওপর। গ্রামার অংশের সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে Wren & Martin-এর English Grammar, TOEFL-এর বই পড়তে পারেন।Appropriate Preposition, Group Verb, Idiom Phrase মুখস্থ রাখতে পারেন।Vocabulary জানার কোনো বিকল্প নেই। ইংরেজি সংবাদপত্র, বই, ম্যাগাজিন পড়ার অভ্যাস করতে হবে এবং সঙ্গে সঙ্গে অজানা শব্দের অর্থ জেনে নিতে হবে। লিখিত অংশে ভালো করার জন্য ইংরেজির কোনো টপিক পড়ার পর তা থেকে নিজের মতো করে লেখার অভ্যাস করতে হবে।
লিখিত অংশে থাকে ইংরেজি থেকে বাংলায় ও বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ। এ জন্য বাংলা ও ইংরেজি সংবাদপত্র সহায়ক হতে পারে। প্রতিদিন কিছু কমন সংবাদ থাকে, যা বাংলা ও ইংরেজি উভয় সংবাদপত্রেই প্রকাশিত হয়। এক-দুটি টপিক নির্বাচন করে বাংলা সংবাদপত্র থেকে পড়ার পর ওই সংবাদটিই ইংরেজি সংবাদপত্রে পড়তে পারেন অথবা উল্টোটি। এতে অনুবাদ কিভাবে করা হয়েছে, কিভাবে শব্দের প্রয়োগ করা হয়েছে সহজেই বুঝতে পারবেন। প্রতিদিন নতুন নতুন টপিক নিয়ে চর্চা চালিয়ে যান। একসময় উন্নতি নিজেই উপলব্ধি করতে পারবেন।
সব শেষে গণিত। এ বিষয়ে সঠিক উত্তরে ফুল মার্কস পাওয়া যায়, যা অন্য কোনো অংশে সম্ভব নয়। গণিত অংশে ভালো করার কোনো সংক্ষিপ্ত পথ নেই। প্রতিদিন বুঝে অনুশীলন করতে হবে। বিগত বছরের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএর এমবিএ ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন, GRE, GMAT-এর ম্যাথ সমাধান করতে পারেন। প্রিলির প্রস্তুতি এমনভাবে নিতে হবে যেন লিখিত অংশের প্রস্তুতিও হয়ে যায়।