নিজের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডা চালিয়ে নিতে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডাব্লিউইএফ) সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে বিশ্বনেতারাও ট্রাম্পের এই রক্ষণশীল নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে মুক্ত বাণিজ্য ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পক্ষে একাট্টা হচ্ছেন
তাঁরা এর বিপরীতে ভারসাম্য রক্ষায় একটি পাল্টা নীতি (কাউন্টারব্যালেন্স) গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে পৌঁছেন ট্রাম্প। এই শহরে গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে বিশ্বের অভিজাত ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা যোগ দিয়ে থাকেন, যাতে আমন্ত্রণ জানানো হয় ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রনেতাদেরও।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে আরো স্বচ্ছ ও পারস্পরিক বাণিজ্যনীতির বাস্তবায়ন। আজ শুক্রবার সম্মেলনের শেষ দিনে দেওয়া ভাষণে তিনি নিজের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডার পক্ষে এই নীতি তুলে ধরবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সম্মেলনে ব্যবসায়ী হিসেবে নয়, ট্রাম্প যোগ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে। ২০০০ সালে বিল ক্লিনটনের পর দাভোস সম্মেলনে যোগ দেওয়া প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। সম্মেলনের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে তিনি টুইটারে বলেছেন, ‘আমেরিকা কিভাবে মহৎ এবং কী করছে তা বলতে আমি শিগগিরই দাভোসে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ‘আমরা আরো ভালো কিছু পাব। আমাদের দেশ আবারও জয়ী হবে। ’
ট্রাম্পের এই জাতীয়তাবাদী নীতির প্রেক্ষাপটে বিশ্ব বাণিজ্যের ভারসাম্য রক্ষায় পাল্টা নীতি নিয়ে একাট্টা হচ্ছেন বিশ্বনেতারা, বিশেষ করে ইউরোপীয় রাজনীতিকরা। তাঁরা ট্রাম্পের বিশ্ব জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়া নিয়ে বিরক্ত। নেতারা মুক্ত বাণিজ্য ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।
সম্মেলনে যোগ দিয়ে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, ‘আমরা মনে করি বিচ্ছিন্নতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে এবং স্বদেশপ্রেম (ট্রাম্পের নীতি) সঠিক বার্তা হতে পারে না। ’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এরই মধ্যে ট্রাম্পের অংশগ্রহণ নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন। সম্মেলনস্থলে বিপুল পরিমাণ তুষারপাতের কথা উল্লেখ করে আয়োজকদের তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতার কথা বিশ্বাস করানো খুব কঠিন হবে। ভাগ্যিস, আপনারা এমন কাউকে আমন্ত্রণ জানাননি যিনি বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে সন্দেহপ্রবণ। ’
তবে ট্রাম্পের নীতিকে রক্ষণশীল হিসেবে না নেওয়ার জন্য সাফাই গাইছেন তাঁর উপদেষ্টারা। সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে থাকা হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা গ্রে কোন বলেন, “ট্রাম্পের বার্তাটি হচ্ছে, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’, যার অর্থ ‘শুধুই আমেরিকা’ নয়। যখন আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়, তখন বিশ্বেরও প্রবৃদ্ধি হয়। আবার যখন বিশ্বের উন্নতি হয়, তখন আমাদেরও উন্নতি হয়। আমরা এর অংশ। আমরা বিশ্ব অর্থনীতিরও অংশ এবং প্রেসিডেন্ট সেটাই বিশ্বাস করেন। ” তবে হোয়াইট হাউসের এই কর্মকর্তার ব্যাখ্যা কতটা গ্রহণযোগ্য হবে আজ সম্মেলনের শেষ দিনেই বোঝা যাবে। সূত্র : রয়টার্স, এবিসি নিউজ।
তাঁরা এর বিপরীতে ভারসাম্য রক্ষায় একটি পাল্টা নীতি (কাউন্টারব্যালেন্স) গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে পৌঁছেন ট্রাম্প। এই শহরে গত মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন। এই সম্মেলনে বিশ্বের অভিজাত ও প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা যোগ দিয়ে থাকেন, যাতে আমন্ত্রণ জানানো হয় ক্ষমতাশালী রাষ্ট্রনেতাদেরও।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের মধ্যে আরো স্বচ্ছ ও পারস্পরিক বাণিজ্যনীতির বাস্তবায়ন। আজ শুক্রবার সম্মেলনের শেষ দিনে দেওয়া ভাষণে তিনি নিজের ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ এজেন্ডার পক্ষে এই নীতি তুলে ধরবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সম্মেলনে ব্যবসায়ী হিসেবে নয়, ট্রাম্প যোগ দিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে। ২০০০ সালে বিল ক্লিনটনের পর দাভোস সম্মেলনে যোগ দেওয়া প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট তিনি। সম্মেলনের উদ্দেশে দেশ ছাড়ার আগে তিনি টুইটারে বলেছেন, ‘আমেরিকা কিভাবে মহৎ এবং কী করছে তা বলতে আমি শিগগিরই দাভোসে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ‘আমরা আরো ভালো কিছু পাব। আমাদের দেশ আবারও জয়ী হবে। ’
ট্রাম্পের এই জাতীয়তাবাদী নীতির প্রেক্ষাপটে বিশ্ব বাণিজ্যের ভারসাম্য রক্ষায় পাল্টা নীতি নিয়ে একাট্টা হচ্ছেন বিশ্বনেতারা, বিশেষ করে ইউরোপীয় রাজনীতিকরা। তাঁরা ট্রাম্পের বিশ্ব জলবায়ু চুক্তি থেকে সরে যাওয়া নিয়ে বিরক্ত। নেতারা মুক্ত বাণিজ্য ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন।
সম্মেলনে যোগ দিয়ে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, ‘আমরা মনে করি বিচ্ছিন্নতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের অবশ্যই সহযোগিতা করতে হবে এবং স্বদেশপ্রেম (ট্রাম্পের নীতি) সঠিক বার্তা হতে পারে না। ’
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এরই মধ্যে ট্রাম্পের অংশগ্রহণ নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন। সম্মেলনস্থলে বিপুল পরিমাণ তুষারপাতের কথা উল্লেখ করে আয়োজকদের তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে বৈশ্বিক উষ্ণতার কথা বিশ্বাস করানো খুব কঠিন হবে। ভাগ্যিস, আপনারা এমন কাউকে আমন্ত্রণ জানাননি যিনি বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে সন্দেহপ্রবণ। ’
তবে ট্রাম্পের নীতিকে রক্ষণশীল হিসেবে না নেওয়ার জন্য সাফাই গাইছেন তাঁর উপদেষ্টারা। সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে থাকা হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা গ্রে কোন বলেন, “ট্রাম্পের বার্তাটি হচ্ছে, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’, যার অর্থ ‘শুধুই আমেরিকা’ নয়। যখন আমাদের প্রবৃদ্ধি হয়, তখন বিশ্বেরও প্রবৃদ্ধি হয়। আবার যখন বিশ্বের উন্নতি হয়, তখন আমাদেরও উন্নতি হয়। আমরা এর অংশ। আমরা বিশ্ব অর্থনীতিরও অংশ এবং প্রেসিডেন্ট সেটাই বিশ্বাস করেন। ” তবে হোয়াইট হাউসের এই কর্মকর্তার ব্যাখ্যা কতটা গ্রহণযোগ্য হবে আজ সম্মেলনের শেষ দিনেই বোঝা যাবে। সূত্র : রয়টার্স, এবিসি নিউজ।